Ads

 বন্ধুরা আমরা যারা ব্লগতৈরি করতে ভালোবাসি তারা নিশ্চয় নিজের সাইটকে সকলের কাছে তুলে ধরতে চাও।

কেননা আপনার ব্লগ যত বেশি পরিচিত হবে আপনিও তত পরিচিত হবেন সাথে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে।

বন্ধুরা তোমরা কী কখনো লক্ষকরেছ নিজের ব্লগস্পট সাইটে যত ইউনিক কন্টেন্ট লিখেন না কেন তা গুগলে খুবই কম র্যাংক করে।

আর সাইটের কন্টেন্ট গুগলে র্যাংক না করার পেছনে মূল কারন হচ্ছে আপনি কোনো প্রিমিয়াম বা পেইড ডোমেইন ব্যবহার না করা।



আর আপনার সাইটে যদি কোনো পেইড ডোমেইন না থাকে তাহলে লোকজন আপনার সাইটকে গুরুত্ব দিবেনা।

সেই সাথে গুগল আপনার সাইটকে গুরুত্ব দিবেনা।

বন্ধুরা পেইড ডোমেইন আপনার সাইটকে আরো স্মার্টকরবে।

পেইড ডোমেইন ব্যবহার করার উপকারিতাঃ

১) জনগনের আস্তা অর্জনঃ

যদি আপনি আপনার সাইটে কোনো পেইড ডোমেইন ব্যবহার করেন তবে ভিজিটর আপনার সাইটের কন্টেন্টকে মুল্যবান মনে করবে।

কারন তারা যদি আপনার সাইটে কোনো ফ্রি ডোমেইন পায় তবে তারা আপনার সাইটকে মূল্য দিবেনা।

সেই সাথে আপনার কন্টেন্টের মান কমে যাবে।

পেইড ডোমেইন ব্যবহারে যেমন আপনার সাইট সকলের কাছে পরিচিত হবে সেই সাথে আপনার সাইটের কন্টেন্টকে সকলে বিশ্বাস করবে।

শুধু তাই নয় আপনি যখন পেইড ডোমেইন ব্যবহার করবেন তখন আপনি ব্লগিং করতে একটা আলাদা আগ্রহ পাবেন এতে আপনার ব্লগিং আরো এগিয়ে যাবে।তাইআমি বলবো ব্লগিংয়ে পেইড ডোমেইন ব্যবহারে জনগনের আস্তাবাড়ে আপনার সাইটের উপর।

২) অ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়াঃ

যদি আপনি আপনার সাইটে কোনো পেইড ডোমেইন ব্যবহার করেন তবে আপনার সাইটে অ্যাডসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ১০০%।

কারন অ্যাডসেন্স তাদের নিতিতে বর্তমানে বলেছে কোনো ফ্রি ডোমেইনে অ্যাডসেন্স পাওয়া কঠিন হবে।

যদিও ব্লগস্পট.কম ডোমেইনে অ্যাডসেন্স পেতে চান তবে আপনাকে অনেক পরিশ্রমের পর পেলে পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন।

আবার ভাববেন নাযে আপনি ব্লগস্পট.কম ডোমেইনে পাবেন না পাবেন যদি আপনি সততার সাথে নিয়ম মেনে কন্টেন্ট লিখুন।

এমনকী আপনি পেইড ডোমেইনেও অ্যাডসেন্স পেতে নাও পারেন যদি আপনার সাইট অ্যাডসেন্স পলিসির নিয়ম না মানে। আরো একটি বড় কথা হচ্ছে আপনি পেইড ডোমেন ব্যবহার করেন কিন্তু আপনার সাইটে কোনো ভালোমানের কন্টেন্ট নেই তাহলে হাজার চেষ্টা করেও অ্যাডসেন্স পাবেন না।

তাই যদি অ্যাডসেন্স পেতে চান তবে অবশ্যই একটি পেইড ডোমেইন ব্যবহার করবে।

৩) গুগল সার্চে টপ লিষ্টে থাকাঃ

যদি আপনি পেইড ডোমেইন ব্যবহার না করেন তবে আপনার সাইটকে গুগল সার্চ লিস্টে শো করবে না।

আপনি কী এই পর্যন্ত লক্ষ করেছেন আপনি যখন কোনো কিছু সার্চ করেন তখন আপনার সামনে যত রেজাল্ট আসে সবগুলো পেইড ডোমেইনের।

আপনি চেষ্টা করলেই আপনার ফ্রি ডোমেইনকে গুগলে র্যাংক করাতে পারবেন না কারন আপনার সাইট ততটা মূল্যবান নয়।

আর যদিও আপনি আপনি আপনার ফ্রি ডোমেইনকে গুগলে সাবমিট করেন কিন্তু আপনার কন্টেন্টকে কেউ গুরুত্ব দিবেনা যা আপনার ব্লগিংকে পিছিয়ে দিবে।

কারন গুগল ফ্রি ডোমেইনকে বেশি গুরুত্ব দেয়না।

৪) সাব-ডোমেইন নেওয়াঃ

আপনি যদি একটি পেইড ডোমেইন কিনেন তবে সেই সাইট থেকে অনেক সাবডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন।

অনেক সময় আমাদের সাবডোমেইনের প্রয়োজন হয় তখন আমরা যদি ইচ্চে করি আমাদের কিনা পেইড ডোমেইন থেকেই সাবডোমেইন নিতে পারি।

কিন্তু যারা পেইডনডোমেইন ব্যবহার করেন না তারা চাইলেই সাবডোমেইন নিতে পারবেন না।

আর যদি আপনি আপনার সাবডোমেইনে ইউনিক কন্টেন্ট লিখেন তবে আপনি অ্যাডসেন্স পেতে পারেন।

পরিশেষে বলতে চাইঃ 

পেইড ডোমেইন ব্যবহারের আরো অনেক সুবিধা আছে।
আমি মাত্র কিছু সুবিধা আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম যাতে আপনারা মূল সুবিধাগুলো জানতে পারেন।

বন্ধুরা তোমরা যারা সম্পূর্ন টিউনটি পড়েছো তোমরা নিশ্চয় ফ্রি আর পেইড ডোমেইনের প্রয়োজনিয়তা উপলব্দি করতে পেরেছ,

তোমরা ইচ্ছে করলে একটি. xyz ডোমেইন দিয়েও ব্লগিং করতে পারো।

যদি তোমরা অনেক পরিশ্রম করো তাহলে আশা করবো.xyz ডোমেইনেও অ্যাডসেন্স পাবেন।আর. xyz ডোমেইনের দামও বেশি নয়,

আপনারা. Xyz ডোমেইন মাত্র ৯৯ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে।

আরহে ব্লগিংয়ে কখনো ভিজিটরদের মনোভাব নষ্ট হয় এমন পোষ্ট করবেন না।

ভিজিটরই হচ্ছে ব্লগিংয়ের মূল চাবিকাঠি।

বন্ধুরা আমার আজকের টিউনটি আপনার কেমন লাগলো,

এরকম আরো টিউন পড়তে আমাদের সাথেই যুক্ত থাকো।

কারন আমরা সবসময় ভিজিটরদের সম্মান করি।

Post a Comment

Previous Post Next Post